1. [email protected] : Robiul Islam : Robiul Islam
  2. [email protected] : unikbd :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুয়েতে বরিশাল বিভাগীয় প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ’র ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত । আপাতত: শেখ হাসিনার দেশে না ফেরার কারণসমুহ-রউফ মাওলা ঝিনাইদহে সঞ্চারী শিল্পী গোষ্ঠী’র আত্মপ্রকাশ কুয়েতে বেসরকারি খাতে কর্মরত প্রবাসীদের বহির্গমন অনুমতি পত্র নিতে হবে কুয়েতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফেনী ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটির ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ বোমা হামলার হুমকি: গালফ এয়ারের ফ্লাইট নিরপদে অবতরণ কুয়েত বিমান বন্দরে কুয়েতে ঈদ উল আযহা উদযাপন লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান
বিজ্ঞপ্তিঃ
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে সারাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগন যোগাযোগ করুন। ফোন: +96560607337 অথবা ই-মেইল: [email protected]

আপাতত: শেখ হাসিনার দেশে না ফেরার কারণসমুহ-রউফ মাওলা

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
  • ১৭২ বার পঠিত

 

 রউফ মাওলা (কুয়েত প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক)

শুনছি শেখ হাসিনা শীঘ্রই দেশে ফিরবেন ! এমনও শোনা যাচ্ছে প্রেসিডন্ট ট্রাম্পের সহযোগিতায় তিনি দেশে আসবেন ! ইতোমধ্যে অনেকগুলো তারিখের কথাই শুনে আসছিলাম বিভিন্ন মহল থেকে । আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিরাও আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রিয় নেত্রীকে নিয়ে। কিন্ত ফলাফল কিছুই আসেনি । আমি মনে করি, আপাতত: শেখ হাসিনা দেশে ফেরার আশা ক্ষীণ। কারণগুলো বিশ্লেষন করলে, এরমধ্যে রয়েছে পিলখানায় ৫৭ সেনা অফিসার হত্যা মামলা ২০০৯ । এই ফাইল আবার ওপেন হচ্ছে খুব শীঘ্রই । এই ফাইল ওপেন হলে এর দায়ভার শেখ হাসিনার উপরই বর্তাবে । শেখ হাসিনার আমলে ভারতের ইন্ধনেই ৫৭ সেনা অফিসারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা । এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ভারত পরোক্ষভাবে জড়িত। এই মামলা যদি আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচালনা করা হয় তাহলে শেখ হাসিনাও জড়িয়ে পড়বেন এতে কোন সন্দেহ নেই । এই সব মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা একেবারেই ক্ষীণ ।

২য় কারণ হল, অসংখ্য ছাত্র ও জনতা হত্যার অপরাধ। এটা কিন্ত ইন্টারন্যাশনাল একটি অপরাধ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে এবং মামলা আরও প্রক্রিয়াধীন আছে । জাতিসংঘ থেকে লোক এসে এসব মামলা তদন্ত করে ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে । শুধুমাত্র দেশের প্রেক্ষিতে নয়, ইন্টারন্যাশনাল মামলা যদি কারও বিরুদ্ধে থাকে, তারপর যদি সেটা হত্যা মামলা হয় সেটা প্রায় গণহত্যার শামিল, এরকম মামলা থাকলে ইঁউরোপের কোন দেশেও তিনি যেতে পারবেন না। এসব মামলা আন্তর্জাতিকভাবে যে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে এটা কিন্ত একটি রায় আসবে । তখন একজন অপরাধী হিসাবে কখনো তিনি দেশে ফিরতে পারবেন না ।

৩য় কারন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ফিরলে তার খুঁটি মজবুত করতে হবে । খুঁটি মজবুত না করলে তার নিরাপত্তার ঝুঁকি অনেক বেশী। অভ্যুত্থানের সময় তিনি চেয়েছিলেন ভারতে না গিয়ে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে গিয়ে থাকবেন কিন্ত সেনা প্রধান এবং উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা তা হতে দেননি। কারন তার নিরাপত্তার ঝুঁকি ছিল অনেক । শেখ হাসিনার পিতার মূর্তিগুলি যেভাবে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে যদি শেখ হাসিনাকে তখন কাছে পেত তা হলে তার লাশও খুঁজে পাওয়া যেত না । অনুকুল পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর দেশে ফিরবেন না । ওঁনার ৩০০ এমপি’র কেউ নেই দেশে। কয়েকজন আছে জেলে। এই পরিস্থিতিতে তিনি কোন ক্রমেই দেশে ফিরতে পারেন না। বিশ্বের অনেক নেতা জনরোষের কবলে পড়ে দেশ ছেড়ে পালানোর পর আর দেশে ফিরে আসেননি । আরএমন কোন রেকর্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। এরকম অসংখ্য উদহারণ রয়েছে। আর যদি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন সেটা হবে একটি নতুন ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ।

 

আমার মনে হয়, আমেরিকাই শেখ হাসিনাকে আর দেশে ফিরতে দেবেনা। কারণ শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমাকে ফেলে দেওয়ার পেছনে আমেরিকার হাত আছে । তাছাড়া ক্ষমতায় থাকতে দম্ভ করে আমেরিকাকে তিরষ্কার করে বলেছিলেন, কে যায় ১৮ ঘন্টা জার্নি করে আমেরিকাতে? না গেলে কি হবে? আমেরিকাকে খুশী না করে কেউ ক্ষমতার মসনদে বসতে পারবেনা। আমেরিকা যখন চায়না শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসুক , তখন সমস্ত পথ তারা বন্ধ করে দেবে। আমেরিকা শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করার পর ইউরোপের সব দেশ শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করে দেয়। তিনি ভারতে না গিয়ে ইউরোপের কোন একটি দেশে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্ত ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে তিনি আর যেতে পারেননি। ডঃ ইউনুসকে বসিয়েছে আমেরিকা। তাই সহজে আমেরিকা চাইবেনা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসুক। অনেক কষ্টে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে আমেরিকা ।

 

এদিকে দেশে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা কর্মিরা চাচ্ছে শেখ হাসিনা শীঘ্রই দেশে ফিরে এসে ক্ষমতায় বসুক। কারণ নেতা-কর্মি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এই সব মামলার মোকাবিলা করলে তিনি জয়ী হবেন। কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সব গোলাগুলি হয়নি। পুলিশের বুলেটে ছাত্র-জনতা মারা যায়নি । যে সব বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে ওগুলি পুলিশের কাছে ছিলনা । জামাত শিবিরের কর্মিরা এগুলি ব্যবহার করে ছাত্র জনতা হত্যা করেছে । এরকম অসংখ্য প্রমাণ আছে । তাই আওয়ামী লীগের কর্মিরা চায় শেখ হাসিনা দেশে এসে মামলা মোকাবিলা করে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসুক।।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD