রবিউল ইসলাম খাঁ (কুয়েত)
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের আনন্দ ভ্রমণ ও বনভোজন, গেলো ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী কুয়েতের কাবাদ অঞ্চলের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
এ আনন্দ ভ্রমণ ও বনভোজনের প্রথম দিনের কর্মসূচীতে ছিলো মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল । মাওলানা নজরুল ইসলামের কুরআন তেলোয়াত ও জাতীয় সংগীত এবং সকল শহীদের স্বরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় ।
বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের আহবায়ক মুরাদুল হক চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সচিব বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায়-অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফরিদ উদ্দিন ।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান টিটো।
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন
মোঃ বিলাল উদ্দিন, আহাম্মদ আলী রানা, শাহনেওয়াজ নজরুল, জাফর আহমেদ,সামছুল আলম, নাসির উদ্দিন হাওলাদার, আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া, দিদারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, শুরুক মিয়া । এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদকর্মী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশীরা ।
২য় দিনের কর্মসূচিতে ছিলো
কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী স্বনামধন্য কন্ঠ শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
কুয়েতের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা এতে অংশ নেন । প্রবাসের মাটিতে এ যনো এক খন্ড বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়ে প্রবাসীদের মিলন মেলায় পরিনত হয় পুরো রিসোর্ট সেন্টারটি ।
শুক্রবার সকাল ৯ টায় কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি গৃহিণীদের তৈরি করে নিয়ে আসা হরেক রকমের পিঠার সমাহার ‘পিঠা উৎসব”-কে আনন্দমুখর করে তোলে ।
এরপর বাঙালি ছোট শিশু কিশোরদের নিয়ে মন মাতানো খেলা গুপ্তধন উদ্ধার ও দৌড প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করা হয় ।
খেলা পরিচালনা করেন শাহ্ করিম, আমির হোসেন মুন্সী
,বেলাল হোসেন ও ইকবাল শিকদার ।
বিজয়ী এগারো জন শিশুদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয় ।
এরপর বিকালে বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের আনন্দ ভ্রমণ ও বনভোজন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা আহবায়ক মুরাদুল হক চৌধুরীর মুরাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কামরুজ্জামান টিটুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় । সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের উপদেষ্টা আব্দুল হাই মামুন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা আব্দুল মুহিত নাজমুল, প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন, সামছুল হক, বেলাল উদ্দিন, শাহ নওয়াজ নজরুল,মোঃ কামাল হোসেন, নাসির উদ্দীন হাওলাদার, দিদারুল আলম চৌধুরী,বেলাল হোসেন, রুকুনুজ্জামান,আহমেদ আলী রানা ।
সমাপনী বক্তব্যে মুরাদুল হক চৌধুরী মুরাদ বলেন, প্রবাসে যত বেশি সামাজিক সংগঠন সৃষ্টি হবে তত বেশি বেশি সহযোগিতা পাবে অসহায় প্রবাসীরা । তবে পদ পদবীর লক্ষ্যে কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, কাজে প্রমান করতে হবে যে
আমরা অসহায় প্রবাসীর পাশে কতটুকু থাকতে পারলাম । তিনি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ায় কমিউনিটির সকল নেতৃবৃন্দ ও শৃঙ্খলাকর্মী এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।।।