কে এম সাইফুজ্জামান শিমুল, ঝিনাইদহ
আধ্যাত্বিক সাধক লালন শাহ্ র স্মরণে--
কুষ্টিয়া ছেউড়িয়ায় মেলা বসে।। সেখানে দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্তরা একত্রিত হয়।। আবার উৎসুক জনতার একটি অংশ বিভিন্ন এলাকা থেকে দেখতে আসে।। এই আসা-যাওয়ার মাঝে অনেকেই নিজের মতামত প্রকাশ করেন।
প্রযুক্তির সহায়তায় অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় এখন বেশি প্রচার হলেও ---- খুব কষ্ট অনুভব করি, যখন লালনের আঁকড়ার গাঁজা-কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে নেতিবাচক ভাবনা প্রচারিত হয়।। অথচ - তার গানের কথা ও জীবনদর্শন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে উল্লেখযোগ্য প্রচারনা দেখিনে। ভাবটা এরকম যে, বাঙালিদের গাঁজা সেবনের জন্যই যেনো লালন মেলা।
বিশেষ করে এই সুযোগ নিয়ে থাকেন, মাজার বিরোধী একটি গোষ্ঠী ও অবুঝ মনের কিছু সংখ্যক দর্শক।।
দু:খজনক হলেও সত্য যে, গাঁজা নিয়ে যতোটা মাতামাতি হয়, বিদেশ থেকে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ফেন্সিডিল / ইয়াবা/ শিশা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য নিয়ে তেমন কোন মাথাব্যথা নেই।। অথচ-- প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার এসব মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে --- রাষ্ট্র - রাজনীতি -সুশীল ও দায়িত্বশীলদের একটি অংশ।। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম প্রতিদিন হারাচ্ছে জীবনের উজ্জ্বল আলো।।
গাঁজা-র পক্ষে লিখছি না, তবে- একথা বলতে চাইছি--
লালন শাহ্ কিংবা যেকোনো মাজারে হাতেগোনা কিছু কলকে দেখে যাদের কলজে জ্বলে, তাদের দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হওয়া দরকার। নিশ্চিত থাকুন--- কোন মাজারে গাঁজা সেবীরা ---- শিক্ষিত জানোয়ারদের দলভুক্ত নয়, দূর্নীতিবাজ নয়, ইতিহাস ও মানচিত্র বিক্রি করে খাওয়ার দলভুক্তও নয়।।
এরা অতি সহজ-সরল মানুষের দলভুক্ত এবং ভিন্ন এক অনুভূতি লালন করে পথচলে।। আর যদি এসবের উপকারের কথা জানার কৌতুহল থাকে, তবে বলবো-- শিল্প- সংস্কৃতি ও অন্যান্যে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।। একটা সময় এদেশ থেকে গাঁজা রপ্তানি হতো।।
------ সব দেখা দেখা নয়, সব জানা জানা নয়