ডেস্ক রিপোর্ট:
এবারের ঈদযাত্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে । একসাথে বিপুল মানুষের যাতায়াতের তীব্র গণপরিবহনের সংকট মোকাবেলায় এবার ঈদের লম্বা ছুটি সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে যাত্রীদের ভোগান্তিমুক্ত, স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ।
সোমবার রাজধানীর ক্রাব মিলনায়তনে ঈদ যাত্রায় সড়কে ডাকাতি , নগরজুড়ে ছিনতাই , সড়ক দুর্ঘটনার শংকা উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
(১) ইদযাত্রা বহরের ফিটনেসবিহীন লক্কর-ঝক্কড় যানবাহন চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে । (২) মোটরসাইকেল যাত্রী ও আরোহীর মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রী সহ ভেস্ট পরিধান বাধ্যতামূলক করা, রুটভিত্তিক গতি নির্ধারণ , সহযাত্রীর সাথে লাগেজ ব্যাগেজ নিয়ে মহাসড়কে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা । (৩) অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে । ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণের ভিজিলেন্স টিমে যাত্রী কল্যাণ সমিতির চাকরি করলে সমিতির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
(৪) যানজট ও দূর্ঘটনা ঘুমাতে জাতীয় মহাসড়ক থেকে প্যাডেল রিক্সা, ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক , নসিমন-করিমন, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ঈদের ১০ দিন আগে উচ্ছেদ করতে হবে।
(৫) কৃত্রিমভাবে যানজট সৃষ্টিকারী মহাসড়কের টোল প্লাজা অতিরিক্ত জনবল নিয়ে যানজট নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে।
(৬) সড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশকে স্পটে দাঁড়িয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখার পরিবর্তে এদের ১০ দিন আগে থেকে মেট্রোলিং ডিউটির নির্দেশনা দিতে হবে । সড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই বন্ধে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীদের সড়কের সক্রিয় রাখতে হবে । পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি স্ব স্ব এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ মহাসড়কের পয়েন্টে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা- কর্মীকে নিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং পন্থায় ঈদের আগে পরে পাহারা দারি নিশ্চিত করতে হবে । (৭) সড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রী হয়রানি , অজ্ঞান পার্টি, মলমপার্টি, টিকিট কালোবাজারি বন্ধে গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার দৃশ্যমান কার্যক্রম এই মুহূর্তে চালু করতে হবে।।