1. [email protected] : Robiul Islam : Robiul Islam
  2. [email protected] : unikbd :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুয়েতে জালালবাদের উপদেষ্টা আজাদ মিয়ার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কুয়েতে ইয়াং স্টার ক্লাব কতৃক জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠান। কূয়েতে বরগুনা জেলা সমিতির বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। মধুপুরে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান ড্রাইভার্সের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত।  কুয়েতে প্রয়াত কবি /সাংবাদিকদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কুয়েতে- সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক আইনে নতুন সংশোধনী আনা হয়েছে। কুয়েতে- বিপুল ‍উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ বরণ । মধুপুরে অটোরিক্সা চালককে আহত করে অটোরিক্সা ছিনতাই।। ছিনতাইকারী আটক কুয়েতে ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে মাগফিরাত ও তারেক হাসানের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।
বিজ্ঞপ্তিঃ
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে সারাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগন যোগাযোগ করুন। ফোন: +96560607337 অথবা ই-মেইল: [email protected]

শিশুদের ভাইরাস জ্বর হলে কী করবেন?

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২
  • ৫৯০ বার পঠিত

শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধি (>৯৮.৬০ ফাঃ) বা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর সাধারণত শরীরের কোন অসুস্থতা বা সংক্রমণের লক্ষণ অর্থাৎ জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র।

বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ধরনের জ্বর হতে পারে। সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গি, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, নিউমোনিয়া, হাম এবং প্রস্রাবের সংক্রমণ ইত্যাদি নানা কারণে জ্বর হতে পারে। ভাইরালফিভার বা ভাইরাস জ্বরে বছরের যে কোনো সময় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও সাধারণত গরমের সময় বা গ্রীষ্মকালেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন।

তাপমাত্রা মাপার নিয়ম

কপালে হাত দিলেই টের পাওয়া যায় কারো জ্বর আছে কি না। তবে জ্বর হয়েছে, এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য থার্মোমিটার দিয়ে মেপে দেখতে হয়। সাধারণত মুখ ও বগলে তাপমাত্রা মাপা হয়। এছাড়া কপাল ও কানেও তাপমাত্রা মাপা যায়। জ্বর মাপার জন্য বিভিন্ন রকম থার্মোমিটার বাজারে প্রচলিত আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে পুরনো ও জনপ্রিয় হলো পারদ থার্মোমিটার। এটি সহজেই পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা।এখন কিছু ডিজিটাল থার্মোমিটারও পাওয়া যাচ্ছে। যা দিয়ে সহজেই শরীরের তাপমাত্রা মাপা যায়।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে আরও একধরনের থার্মোমিটার জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তা হলো ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। যা দিয়ে শরীর স্পর্শ না করেই শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা সম্ভব।

আমরা সাধারণত থার্মোমিটার এক মিনিট জিহ্বা বা বগলের নিচে রেখে তাপমাত্রা নির্ণয় করি। তবে শিশুদের মুখে থার্মোমিটার দেয়া উচিত নয়। ডিজিটাল থার্মোমিটারে শব্দ করলে বুঝতে হবে যে তাপমাত্রা মাপা শেষ। আর ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সাধারণত কপালের সামনে ধরলেই তাপমাত্রা নির্দেশ করে। তবে এ ক্ষেত্রে তাপমাত্রা একটু কমবেশি দেখাতে পারে।

মানুষের দেহের তাপমাত্রা কোনো ক্রমেই ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর কম বা ১১০ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর বেশি হতে পারে না। মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে সর্বচ্চ ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা মুখের তাপমাত্রাকে বোঝায়। এর বেশি হলেই আমরা জ্বরে আক্রান্ত বলে থাকি। একজন সুস্থ মানুষের জন্য মুখে ৩৩.২-৩৮.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, পায়ুপথে ৩৪.৪-৩৭.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, কানের পর্দায় ৩৫.৪-৩৭.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বগলে ৩৫.৫-৩৭.০ ডিগ্রী সেলসিয়াস হল স্বাভাবিক তাপমাত্রা।

ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ

* হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া।

* চোখ লাল হয়ে যাওয়া।

* সারা শরীরে ও হাতে-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা।

* প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করা।

* খাবারে অরুচি, মুখে বিস্বাদ লাগা।

* বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।

* শরীরের চামড়ায় বা ত্বকে র‌্যাশ দেখা দেয়া।

* শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া।

* শীত শীত অনুভূত হওয়া এবং ঘাম দিয়ে জ্বর আসা।

* শিশুদের অতিরিক্ত জ্বরের কারণে কখনও কখনও খিঁচুনি হতে পারে।

করণীয়

* দ্রুত জ্বর কমাতে সারা শরীর কুসুম গরম পানিতে ভেজানো গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছাতে হবে।

* মাথায় পানি দিতে হবে।

* রোগীকে ফ্যানের বাতাসে রাখুন।

* জ্বর ও শরীরের ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। জ্বর বেশি মাত্রায় (১০২ ফারেনহাইট) হলে মলদ্বারে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করুন।

* খাবার স্যালাইন, ফলের রস, শরবত ইত্যাদি তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে এবং অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।

* স্বাভাবিক সব খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াতে হবে। তবে তরল খাবার অবশ্যই বেশি বেশি দিতে হবে।

* টকজাতীয় ফল জাম্বুরা, আমড়া, কমলা, লেবু, ইত্যাদি খাওয়া ভালো।

মনে রাখবেন

জ্বর তিনদিনের মধ্যে প্রশমিত না হলে বা আনুষঙ্গিক অন্যান্য উপসর্গের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট, খিচুনি, অতিরিক্ত বমি, পাতলা পায়খানার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD