রওফ মাওলা ( কুয়েত প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক)
★২৬ জুন থেকে শুরু হয়েছে HSC ও সমমানের পরীক্ষা । পরীক্ষকরা কত অমানবিক হলে এ ঘটনা দেখেও না দেখার ভান করেছেন , আপনারা ভাবতে পারেন ?
একজন মহিলা পরীক্ষার্থী একটু দেরী করার কারণে ওকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । এই পরীক্ষার্থীর বাবা নেই । পরীক্ষার দিন সকালে ওর মা মেজর স্ট্রোক করার কারণে পরম্পরা মাকে হাসপাতালে ডাক্তারদের হাতে তুলে দিয়ে মিরপুর বাংলা কলেজে আসতে আসতে ওর একটু দেরী হয়ে যায় । অনেক কান্না-কাটির পরও মেয়েটিকে আর পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । সামাজিক যোগাযোগে এ ঘটনা ভাইরাল হলে নেটিজনরা বিভিন্ন মন্তব্য করে মেয়েটির পাশে দাঁড়ান । সবাই এমন ঘটনার ধিক্কার জানায় ।
এমন কি মহাভারত অশুদ্ধ হত যদি মেয়েটির পরীক্ষা নেয়া হত । যত সময় দেরী করে আসছে মেয়েটি কতটুকু সময় যোগ করে দিলেই তো সে পরীক্ষা দিতে পারত । আমরা কোন আজব দেশে বাস করি , যেখানে মানবতার লেস মাত্র নেই ! আমরা আর কবে মানবিক আচরণ করতে শিখব ।
এমন আর একটি ঘটনা ঘটেছে পরীক্ষার ১ম দিন । আর এক মহিলা পরীক্ষার্থী এডমিট কার্ড বাসায় ভুলে রেখে হলে চলে আসে । মনে পড়তেই সে পাগল প্রায় হয়ে এক পুলিশের সহায়তা কামনা করে । আর মাত্র আধা ঘন্টা পরই আরাম্ভ হবে পরীক্ষা । পুলিশ মেয়ে পরীক্ষার্থীকে হোন্ডা দিয়ে নিয়ে গিয়ে বাসা থেকে এডমিট কার্ড সংগ্রহ করে সময় মত এসে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে । সামাজিক যোগাযোগে এই পুলিশের মানবিকতা দেখে নেটিজনরা প্রসংশায় করে বিভিন্ন মন্তব্য করেন ।
আমরা এমনই মানবিক আচরণ দেখতে চাই সর্বক্ষেত্রে । আমরা বোর্ড কতৃপক্ষকে অনুরোধ করে বলতে চাই , যে মেয়েটি পরীক্ষা দিতে পরেনি ওর মার অসুখের কারনে ওর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে আপনারা মানবিকতার পরিচয় দিন ।সবগুলি পরীক্ষার পর যে বিষয় সে পরীক্ষা দিতে পরারেনি সে বিষয়ে আবার ওর পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হউক । নচেৎ মেয়েটির ভবিষ্যত একেবারে অন্ধকার নেমে আসবে । বাবা হারা মধ্যবিত্ত পরিবারের এই মেয়টি এভাবে হারিয়ে যেতে পারেনা । আমরা সবাই মেয়েটির পাশে আছি যৌক্তিক কারণে । আনিসাকে আবার পরীক্ষার সুযোগ দিয়ে বোর্ড কতৃপক্ষ অনন্য উদহারণ সৃস্টি করুক এটাই নেটিজনদের ইচ্ছা ও কামনা ।।