হ্যা, গত দুই দিনে টকশোতে কেউ কেউ যে কথাটি হাল্কা টাচ দিয়ে গেছেন সেটাই আমার আশংকা। এই ভিসা নীতি আসল বিষয় নয়, আসল বিষয় অন্যটা। আমার ধারণা -সেটা অনেক বড় কিছু। সেই জায়গায় পৌঁছাতে হলে আমেরিকাকে একটা ছুতা খুঁজতে হবে। সেই ছুতা নির্বাচন ও ভিসা নীতি। এটা আবার দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য বিষয়। এর মাধ্যমে প্রবেশ দ্বার তৈরি করবে। তাতে আমেরিকার সুবিধা- বৃহত্তর জনগোষ্ঠী তাদের পক্ষে থাকবে। আর যেটাকে চূড়ান্ত লক্ষ্য বলে ভাবছি সেটা যদি ঠিক হয়ে থাকে তাহলে আমেরিকাকে সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ সে অলরেডি লক্ষ্য স্থির করেছে। এরা ঈগলের মতো। একবার লক্ষ্য স্থির করলে, মিস হয় খুব কমই। তাকে ঠেকানো কঠিন। আমাদের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, সম্পদের ঘাটতি, প্রযুক্তির ঘাটতি ইত্যাদি নানা ঘাটতি আছে। সামরিক শক্তিতেও অতটা এগিয়ে নই। এইসব বিবেচনা করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করা হয়েছিল- "সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়"। সেই জায়গা থেকে সরে আসাটা ঠিক হয়নি, আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে সম্ভবত গলদ হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। তাতেও ম্যানেজ করা যাবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। তবু ডিপ্লোমেসি বলে একটা কথা আছে। সেটা আওয়ামী লীগ চেষ্টা করে দেখতে পারে। পরিস্থিতির আর মোটেই অবনতি হতে দেয়া ঠিক হবে না। আমেরিকাকে আপাতত তাচ্ছিল্য না করাই উত্তম। যা গেছে তা ডিপ্লোমেসি দিয়ে ঠিক করার চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। আমেরিকাকে চূড়ান্ত ছো মারার সুযোগ দেয়া একদম উচিত হবে না। এটা ঠেকানোর জন্য সামনে একমাত্র পথ 'ডিপ্লোমেসি'।