কুয়েতে ছোট ও মাঝারি ধরনের ব্যবসা করে যে সকল কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা সফল হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন চাঁদপুর হাজীগঞ্জের কৃতি সন্তান হাজী ইউনুছ মাহমুদ। তিনি কুয়েতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় তিরিশ বছর ধরে । কুয়েতের হাওয়াল্লি এলাকায় লেডিস টেইলার্সের দোকান দিয়ে সততা, নিষ্ঠা আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতার মুখ দেখেছেন অনেক আগেই ।
তার দোকানে আরও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন তারাও বেশ ভালোই আছেন বলে দর্পণ টিভিকে জানান । স্বাধীন ও বৈধ উপায়ে উপার্জন করা একজন গর্বিত রেমিট্যান্স যোদ্ধা হাজী ইউনুস মাহমুদ । ব্যবসার পাশাপাশি তিনি প্রবাসী অধিকার পরিষদ কুয়েত এর সহ-সভাপতি ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেকে অসহায় প্রবাসীদের পাশে রাখতে বেশ আগ্রহী ।
মা,মাটি, দেশকে ভালোবেসে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন ।
তিনি ব্যক্তিগতভাবে সফল হলেও কষ্টটা এক জায়গায় আর তা হলো তিন লক্ষ কুয়েত প্রবাসী সবাই ভালো নেই । সবাই ভালো থাকলে সেটা আরও খুশির কারণ হতো হাজী ইউনুছ মাহমুদের । কিছু কিছু কারণে মনোকষ্টৌ ক্ষোভ ও দুঃখের কথা জানালেন মোঃ ইউনুস । আর তা হলো প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের কাজ হিসেবে যথাযথ পারিশ্রমিক/মূল্যায়ন পায় না । তাছড়া সিন্ডিকেটের কারণে এয়ার টিকিটের দাম পড়ে যায় অনেক বেশি । ব্যবসা সম্পর্কে দর্পণ টিভির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন , এখানে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করা যায় । এখানে নেই কোনো দুর্নীতি, অনিয়ম চাঁদাবাজি । হরতাল ও ধর্মঘটের কথা -তো - কল্পনাও করা যায় না । বুঝে+শুনে ব্যবসা করতে পারলে কুয়েতে সফলতা পাওয়া কঠিন কোনো বিষয় না ।
আমাদের দেশের সরকার ও দূতাবাসের প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা পেলে ব্যবসা-বাণিজ্যে আরও বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারতো । এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান এবং দেশে ফেরত গেলে বিমানবন্দরে প্রবাসীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন ।
প্রবাসীরা দ্রুততার সহিত ঝামেলা বিহীন ইমিগ্রেশন শেষ করে এয়ারপোর্ট ত্যাগ করতে পারেন । পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল শ্রীলংকা ভারতের শ্রমিকরা যেমন করে সামান্য অর্থ খরচ করে সহজে কুয়েত আসতে পারেন; কিন্তু বাংলাদেশী শ্রমিকরা সেভাবে আসতে পারে না । তাদের গুনতে হয় মোটা অংকের অর্থ । খোয়াতে হয় নিজের ভিটে বাড়ি । এদিকে সরকারের বীশেষ নজর দেওয়ার দাবি জানান । যাতে করে দালালরা অতিরিক্ত অর্থ প্রবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে না পারে । কুয়েতের অবস্থানরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশীরা কুয়েতের সকল আইন নিয়ম-কানুন মেনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান হাজী ইউনুছ মাহমুদ।