ষ্টাফ রিপোর্টার : (কুয়েত)
কুয়েতে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল ও এন টিভির কুয়েত প্রতিনিধি আল আমিন সরকারের কথোপকথনের কল রেকর্ড ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর একটি whatsapp গ্রুপ থেকে রেকর্ডটি ফাঁস হলে কুয়েতে বাংলাদেশীদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে ।
ভাইরাল হওয়া রেকর্ডটিতে ওই বিএনপি নেতা আল আমিন সরকারকে বলতে শোনা যায় কুয়েতে বর্তমানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও রাজনৈতিক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানকে কুয়েত থেকে দেশে পাঠানোর হুমকি প্রদান করেন ।
জৈনেক কাদেরকে উদ্দেশ্য করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো বার্তাটিতে তিনি দূতাবাসের বিভিন্ন বিষয় তুলে আনেন । এ সময় তিনি নিজেকে রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি সংবাদকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে দূতাবাসে সাত থেকে আট বছর যাবত আসা-যাওয়া বেশি হওয়ার বিষয়টা টেনে এনে বলেন আমি ইনশাআল্লাহ কথা বেশি বলব না কাজ করে দেখাবো, আমি কুয়েতের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে ছাড়বো এবং পাশাপাশি দূতালয় প্রধান ও রাজনৈতিক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানকেও দেশে পাঠাবো বলে প্রতিজ্ঞা করেন ।
এদিকে একাধিক সূত্রে জানা গেছে আলামিন সরকার কুয়েতে নিজেকে এন টিভির প্রতিনিধি দাবি করে ৫ ই আগস্টের আগেও একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বেশ সখ্যতা গড়ে তুলে ছিলো । আওয়ামী লীগ সরকারে থাকা থাকাকালীন কুয়েতে বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে বিভিন্ন অপকর্মের করতে থাকে । অনেকেই বলেন এই তথাকথিত বিএনপি নেতা আল-আমিন সরকার আওয়ামীলীগের দালালি করে বরাবরই নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে । এদিকে আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম, নেশা দ্রব্য গ্রহণ, যাকে-তাকে হুমকি-ধামকি প্রদান সহ যাকে-তাকে যত্রতত্র মারতে উদ্যেত হন । এমনকি একাধিক নারী কেলেঙ্কারিতেও তিনি জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে । অনেক কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা বলেন এমন কিছু দুস্কৃতিকারীদে জন্য পুরো বাংলাদেশ ও কুয়েত প্রবাসীদের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরই নিজের মুখোশ পরিবর্তন করে নিজেকে সংবাদকর্মীর পাশাপাশি বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করে এই সুযোগ সন্ধানী আল আমিন সরকার ।